ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) [৩৩-১১০ হি:] ছিলেন একজন বিখ্যাত স্বপ্নের ব্যাখ্যাকারক : এ সম্পর্কে তার লিখা স্বপ্নের তাবীর কিতাবটি পড়তে পারেন।
স্বপ্নের ব্যাক্ষা যদি আমরা করতে যাই তা হলে আমাদের কে আগে হাদীস কোরান ফেকাহ ও হকিকত এর ইলম থাকতে হবে । কারন কোরানের আয়াত দিয়ে ও স্বপ্নের ব্যাক্ষা করে হয় হাদিস দিয়ে ও করা হয় তাফসির দিয়ে ও করা । আর ইলম এ হকিকত না থাকলে যদি কেউ শুধু শুধু হাতে গনা কোরানের আয়াত ও হাদিস থেকে স্বপ্নের ব্যাক্ষা করতে চায় তবে তা হবে এক যুগান্তকারী ভুল ।
১.
আমাদের শ্রদ্ধেয় ইমাম আবু হানিফা (রহ) তার জীবনে স্বপ্ন দেখেন যে ;- তিনি নবী (সা) এর কবর খুড়ে খুড়ে হাড্ডি গুলো বের করছিলেন আর তিনি একটা হাড্ডির চেয়ে অন্য হাড্ডি টা ওনেক সুন্দর পাচ্ছিলেন ।
তিনি এই স্বপ্ন দেখে ঘাবড়ে যান ও দ্রুত স্বপ্ন বিষারদ এর ইমাম হযরত ইবনে সীরিন (রহ) কাছে চলে যান ও সব কিছু খুলে বলেন ।
ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) বলেন এ তো ইমাম আবু হানিফার জন্য নির্দিষ্ট কৃত স্বপ্ন । তুমি কে ? তখন ইমাম আবু হানিফা বলেন আমিই আবু হানিফা ।
উল্লেখ্য যে ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) আবু হানিফা (রহ) কে চিনতেন না । তখন স্বপ্নের ব্যাখা করেন যে আল্লাহ তায়ালা তোমাকে দিয়ে উম্ম্তে মোহাম্ম্দির সুন্নাত জিন্দা করবেন ও দ্বীনের খেদমত নিবেন । ( ইমাম এ আজমের গল্প)
২.
ইমাম ইবনে সীরীন এর সময়ের খলিফার স্ত্রী স্ব্পনে দেখল যে তাকে উল্টা করে পাছার মধ্য পেরেক মারা হচ্ছে । একটা একটা করে মোট সাতটা পেরেক মারা হল ।
খলিফার স্ত্রী বাদি কে ডেকে বললেন যে তুমি ইমাম সাহেবের কাছে গিয়ে এই স্বপ্নের কথা বলবে যে তুমিই দেখেছে। খলিফার স্ত্রী নিজের নাম প্রকাশ করতে মানা করেন।
বাড়ি গিয়ে ইমাম সাহেব কে স্বপ্ন খুলে বললে ইমাম সাহেব বলেন তুমি কে ?
বাদি বলেন যে ওমুকের দাসী ।
ইমাম সাহেব বলেন তুমি যে স্বপ্ন দেখার দাবি করছ এই স্বপ্ন তুমি কোন দিন এ দেখতে পারবে না । সতি্য করে বল কে দেখেছে এই স্বপ্ন ?
তখন বাদি সত্যি স্বীকার করে বলেন যে খলিফার স্ত্রী ।
তখন ইমাম সাহেব বলেন যে গিয়ে মোবারক বাদ দিবেন । আর বলবেন যে আপনার ওরস থেকে এমন এক সন্তান জন্ম নিবে যে তার ঘরে, যে সপ্তম সিড়ি পর্যন্ত তারা বাদশাহি করবে । আর ইমাম সাহেবের স্বপ্ন ব্যাখা সত্যি হয়েছিল ।
৩.
এক লোক বিদেশ থেকে বাড়ি আসার পথে রাস্তায় স্বপ্নের দেখল যে তার স্ত্রীর গুপ্তাঙ্গের মধ্য ২ টা ভেড়া তার শিং দিয়ে আঘাত করে করে রক্তাক্ত তরে দিয়েছে ।
স্বামী বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে এসে ওই স্বপ্নের কারনে স্ত্রীর কাছে থেকে দুরে থাকতে সুরু করে ।
এক সপ্তাহ পরে ইমাম সাহেবের কাছে গিয়ে বলেন হুজুর , লজ্জার কথা কি করে বলি ?
ইমাম সাহেব লিখে দিতে বলেন ।
লেখা দেখার পর ইমাম সাহেব বলেন যে শোন ,তোমার স্ত্রীকে দূরে রেখ না । সে নেহায়েত একজন পুন্যবতী স্ত্রী তোমার । আসলে তুমি বাড়ি ফিরে আসছ এই খবর পাওয়ার পর সে নিচের গুপ্তাঙ্গের লোম পরিষ্কার করতে মনোযোগি হয় । হাতের কাছে লোম উপড়ানোর কোন কিছু না থাকায় সে কাচি দিয়ে তা ছেঁটে ফেলে । আর তাতে কয়েক যায়গায় তোমার স্ত্রীর গুপ্তাঙ্গ কেটে যায় । তুমি ফিরে যাও ও স্ত্রীকে কাছে ডেকে নাও । তাকে আর দূরে রেখ না ।
স্বামী বাড়ি ফেরার পর স্ত্রীকে কাছে ডাকলে স্ত্রী তার জিগ্গেস করে আজ এক সপ্তাহ বাড়িতে এসেছেন ও আমাকে দূরে রেখেছেন ।
তার কারন বলুন আমাকে ও এখন কেন কাছে ডাকছেন তার ও কারন বলুন ।
তখন সেই স্ত্রীর স্বামী সব খুলে বলেন।
তখন তার স্ত্রী কাপড় উত্তোলন করে তার স্বামীকে দেখায় বলেন যে ইমাম সাহেব সতি্য বলেছেন । দেখুন আমার খত স্থানে এখন ও তুলা লাগানো আছে । (স্বপ্নের ব্যাখ্যা ) পৃ ৬৭ প
No comments:
Post a Comment